রূবেণের উত্তরপুরুষ
5
1-3 রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথম সন্তান| তাই, প্রথামত তাঁরই বড় ছেলের বিশেষ সম্মান ও সুবিধে পাবার কথা| কিন্তু যেহেতু রূবেণ তাঁর পিতার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সেই কারণে বড় ছেলের অধিকার যোষেফের পুত্ররা পেয়েছিলেন| পারিবারিক ইতিহাসেও, রূবেণের নাম বড় ছেলে হিসেবে নথিভুক্ত করা নেই| যিহূদা যেহেতু তাঁর ভাইদের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, সেহেতু তাঁর পরিবার থেকেই নেতা স্থির করা হত| তা সত্ত্বেও, বড় ছেলের বিশেষ অধিকার ও অন্যান্য ক্ষমতা যোষেফের বংশের লোকরাই ভোগ করতেন|
রূবেণের পুত্ররা ছিল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী|
4 যোয়েলের উত্তরপুরুষদের তালিকা নিম্নরূপ: যোয়েলের পুত্রের নাম শিময়িয়, শিময়িয়র পুত্রের নাম গোগ, গোগের পুত্রের নাম শিমিয়ি,
5 শিমিয়ির পুত্রের নাম মীখা, মীখার পুত্রের নাম রায়া, রায়ার পুত্রের নাম বাল,
6 বালের পুত্রের নাম ছিল বেরা| অশূররাজ তিগ্লত্-পিলেষর রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর এই নেতাকে তার জায়গা ছাড়তে বাধ্য করেন এবং তাঁকে নির্বাসন দেন|
7 যোয়েলের ভাইদের ও তাঁর পরিবারের পরিচয় তাঁর পরিবারগোষ্ঠীর ইতিহাস অনুযায়ী ছিল নিম্নরূপ: এই বংশের বড় ছেলে ছিলেন যিয়ীয়েল, তারপর সখরিয় আর
8 আসসের পুত্র বেলা| আসস ছিলেন শেমার পুত্র| শেমা ছিলেন যোয়েলের পুত্র| এঁরা অরোয়ের থেকে নবো এবং বাল্-মিয়োন পর্যন্ত অঞ্চলে বাস করতেন|
9 পূর্বদিকে ফরাৎ নদীর কাছে মরুভূমি পর্যন্ত অঞ্চলে এঁদের বসবাস ছিল| বসবাসের জন্য তাঁরা এই অঞ্চল বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাঁদের গিলিয়দে অনেক গবাদি পশু ছিল|
10 শৌলের রাজত্ব কালে, বেলার লোকরা হাগরীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তাঁদের হারিয়ে তাঁদের তাঁবুতে বসবাস করতে শুরু করেন এবং গিলিয়দের পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেন|
গাদের উত্তরপুরুষ
11 গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের কাছেই বাশন অঞ্চলের শহর সলখা পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করতেন|
12 বাশনের প্রথম নেতা ছিলেন যোয়েল| তারপরে যথাক্রমে শাফম ও যানয় নেতা হন|
13 মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, যোরায়, যাকন, সীয় আর এবর হলেন এই পরিবারের সাত ভাই|
14 এঁরা সকলেই হূরির পুত্র অবীহয়িলের উত্তরপুরুষ| আবার হূরি ছিলেন যারোহর পুত্র, যারোহ গিলিয়দের পুত্র, গিলিয়দ মীখায়েলের পুত্র, মীখায়েল যিশীশয়ের পুত্র, যিশীশয় যহদোর পুত্র আর যহদো ছিলেন বূষের পুত্র|
15 অন্য এক পরিবারের নেতা অহির পিতার নাম অব্দিয়েল| তিনি ছিলেন গূনির পুত্র|
16 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দ অঞ্চলে বসবাস করত| এঁরা বাশন ও বাশনের পার্শ্ববর্তী ছোট খাটো শহর থেকে সীমান্তে শারোণ পর্যন্ত সমস্ত সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন|
17 এই সমস্ত নামগুলি গাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এগুলি যিহূদার রাজা যোথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের সময়ে নথিভুক্ত করা হয়|
যুদ্ধে কিছু রন-কুশলী সৈনিক
18 রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে 44,760 জন সাহসী লোক ছিল| ঢাল-তরোয়াল ছাড়াও তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করাতেও তারা ছিল পারদর্শী|
19 এরা হাগরীয়, যিটূর, নাফীশ ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে|
20 মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করেন| ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেন কারণ তারা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল এবং তারা হাগরীয়দের ও অন্যান্য সকলকে যুদ্ধে পরাস্ত করে|
21 তাদের 50,000 উট, 250,000 মেষ এবং 2000 গাধা নিয়ে নেওয়া ছাড়াও তারা 100,000 ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন|
22 ঈশ্বর স্বয়ং রূবেণের বংশের লোকদের সহায় হওয়ায় বহু হাগরীয় যুদ্ধে নিহত হন এবং অতঃপর মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারের লোকেরা হাগরীয়দের বাসভূমিতে থাকতে শুরু করেন| ইস্রায়েলের লোকরা বন্দী হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁরা ওখানেই বাস করেছেন|
23 মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোক বাল্-হর্ম্মোণ, সনীর ও হর্ম্মোণ পর্বত পর্যন্ত বাশন অঞ্চলে বসবাস করতেন| এমশঃ তাঁরা একটি বড় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিলেন|
24 এফর, যিশী, ইলীয়েল, অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয়, যহদীয়েল প্রমুখ বিখ্যাত সাহসী বীররা ছিলেন এঁদের নেতা|
25 কিন্তু এঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপাচরণ করে এই অঞ্চলের প্রাক-বাসিন্দাদের ভ্রান্ত দেবদেবীর আরাধনা শুরু করলেন| এ কারণেই ঈশ্বর কিন্তু প্রাক-বাসিন্দাদের ধ্বংস করেছিলেন|
26 ফলতঃ, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অশূররাজ পূল যিনি তিগ্লত্-পিলেষর নামেও পরিচিত ছিলেন, যুদ্ধ করবার উস্কানি দিলেন এবং তিনি রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বন্দী করে নির্বাসনে নিয়ে গেলেন| এই সমস্ত বন্দীদের পূল হেলহ, হাবোর ও হারা এবং গোষণ নদীর কাছে নিয়ে এলেন| সে দিন থেকে আজ পর্যন্ত তারা সেখানেই বসবাস করে আসছেন|