পবিত্র বিষয়ে উপহার
25
প্রভু মোশিকে বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের বলো আমার জন্য উপহার নিয়ে আসতে| তারা ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের মনে মনে ঠিক করে নেবে তারা আমাকে কি দিতে চায়| আমার হয়ে তুমি সেই উপহারগুলি গ্রহণ করো| এই হল তার ফর্দ যা যা তুমি তাদের থেকে গ্রহণ করবে: সোনা, রূপো এবং পিতল, নীল, বেগুনী এবং লাল সূতো ও মসৃণ শনের কাপড় এবং ছাগলের লোম, মেষের লাল রঙের চামড়া, মসৃণ চামড়া, বাবলা কাঠ, প্রদীপের তেল, অভিষেকের তেল, সুগন্ধি মশলা, সুগন্ধি ধূপ তৈরির মশলা| এগুলি ছাড়াও অলীক মণি এবং অন্যান্য মনিমাণিক্য যেগুলো যাজক দ্বারা পরিহিত এফোদ এবং বক্ষাবরণের ওপর ব্যবহৃত হবে তা গ্রহণ করো|”
পবিত্র তাঁবু
ঈশ্বর আরও বললেন, “লোকরা আমার জন্য একটি পবিত্র স্থান তৈরী করবে| তখন আমি তাদের মধ্যে থাকতে পারব| আমি তোমাদের পবিত্র তাঁবু এবং তার আসবাবপত্রাদি কেমন দেখতে হওয়া উচিৎ‌ দেখাব| এবং আমি যেমনটি দেখাব ঠিক তেমনি একটি তাঁবু তৈরী করবে|
সাক্ষ্য সিন্দুক
10 “একটি বিশেষ সিন্দুক তৈরী করবে| সিন্দুকটি তোমরা বাবলা কাঠ দিয়ে তৈরী করবে| পবিত্র সিন্দুকটির দৈর্ঘ্য হবে 2.5 হাত, প্রস্থ 1.5 হাত এবং উচ্চতা 1.5 হাত| 11 পুরো সিন্দুকটির ভেতরে বাইরে সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে| তোমরা অবশ্যই তার চারধারে সোনার ঝালর দেবে| 12 তোমরা সিন্দুকটিকে বয়ে নেওয়ার জন্য চারটি সোনার আংটা সিন্দুকটির চারদিকে লাগাবে| দুদিকে দুটো করে সোনার কড়া বা আংটা থাকবে| 13 এরপর সিন্দুকটিকে বহন করার জন্য দুটো বাবলা কাঠের দণ্ড বানাবে| এই দণ্ডটিও সোনা দিয়ে মোড়া থাকবে| 14 এরপর সিন্দুকটির দু প্রান্তের আংটার মধ্যে দণ্ডগুলি ঢোকাবে এবং সিন্দুকটিকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহার করবে| 15 এই দণ্ডগুলি অবশ্যই সিন্দুকটির হাতার ভেতরদিকে দৃঢ় হয়ে থাকবে এবং সেগুলো কখনও খুলে নেওয়া হবে না|”
16 ঈশ্বর বললেন, “আমি তোমাদের চুক্তিটি দেব| তা ঐ সিন্দুকে রেখে দেবে| 17 আড়াই হাত লম্বা ও দেড় হাত চওড়া একটি সোনার আচ্ছাদন তৈরী করবে| 18 পেটানো সোনা দিয়ে দুইটি করূব দূত বানাও এবং সোনার আচ্ছাদনের দুই প্রান্তে তাদের রাখো| 19 আচ্ছাদনের দুই কোণায় তাদের রেখে একই আচ্ছাদনের নীচে ওদের স্থাপন করবে| এরপর দূতদের এবং আচ্ছাদনটিকে একটি অখণ্ড বস্তু করবার জন্য তাদের যুক্ত করো| 20 দূতদের ডানা দুটিকে অবশ্যই আকাশের দিকে বিস্তৃত করে দিতে হবে| এবার ডানা সমেত দূতের মূর্তিকে সিন্দুকে এমনভাবে রাখবে যেন দুজনেই মুখোমুখি আচ্ছাদনের দিকে তাকিয়ে থাকে|
21 “আমি তোমাদের চুক্তিটি দেব এবং তোমরা তা সিন্দুকে রাখবে এবং সিন্দুকের ওপর ঐ ঢাকনাটি দিয়ে দেবে| 22 আমি যখন তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব তখন আমি পরস্পর মুখোমুখি ঐ দূতদের মাঝখানে আচ্ছাদনের ওপর থেকে কথা বলব| ইস্রায়েলবাসীকে দেবার জন্য আমি আমার সমস্ত আদেশসমূহ তোমাদের দেব|
টেবিল
23 “বাবলা কাঠের একটি টেবিল তৈরী করবে| টেবিলটি দৈর্ঘ্যে হবে 2 হাত, প্রস্থে 1 হাত এবং উচ্চতায় 1.5 হাত| 24 টেবিলটি খাঁটি সোনা দিয়ে মোড়া থাকবে এবং টেবিলের চারদিকে সোনার নিকেল করা থাকবে| 25 তারপর টেবিলের চারিদিকে 1 হাত চওড়া একটি কাঠের কাঠামো তৈরী করবে এবং ঐ কাঠের কাঠামোতে সোনার নিকেল করা থাকবে| 26 টেবিলের চার পায়ায় চারটি সোনার কড়া তৈরী করে রাখবে| 27 পায়ায় সোনার কড়া চারটি টেবিলের ওপর রাখা কাঠামো বরাবর সোজা তুলে আনবে| এবার চারটি কড়ায দণ্ড ঢুকিয়ে টেবিলটিকে বহন করা যাবে| 28 বাবলা কাঠেরই দণ্ড তৈরী করে যেগুলি সোনারপাতে মুড়ে টেবিলটিকে বহন করবে| 29 সোনার থালা, চামচ, মগ ও পাত্র তৈরী করবে| মগ ও পাত্র পেয় নৈবেদ্যর জন্য ব্যবহার করা হবে| 30 টেবিলের ওপর আমার জন্য বিশেষ রুটি রাখবে| এবং তা যেন সর্বক্ষণই আমার সামনে রাখা থাকে|
দীপদান
31 “এরপর একটি দীপদান বানাবে| খাঁটি সোনাকে পিটিয়ে একটি সুদৃশ্য দীপদান তৈরী করবে| এই দীপদানের কাণ্ড, শাখা, গোলাধার প্রভৃতি সব অখণ্ড হবে|
32 “এই দীপদানে অবশ্যই ছয়টি শাখা থাকতে হবে| তিনটি শাখা একদিকে প্রসারিত থাকবে এবং অন্যদিকে থাকবে তিনটি শাখা| 33 প্রত্যেক শাখায় তিনটি ফুল থাকবে| ঐ দীপদানের ফুলগুলি বাদাম ফুলের মতো হবে এবং তাতে মুকুলও থাকবে| 34 দীপদানের জন্য আরও চারটে ফুল তৈরী করবে| এই ফুলগুলি হবে বাদাম ফুলের মতো, সঙ্গে মুকুলও থাকবে. 35 দীপদানের ছয়টি শাখা থাকবে| হাতলের বা দীপদানের কাণ্ডের দুদিক থেকে যথাক্রমে তিনটি করে শাখা বেরিয়ে আসবে| কাণ্ডের যেখানে শাখাগুলি মিশছে সেখানে ফুল ও মুকুল তৈরী করে লাগাবে| 36 পুরো দীপদানটি, এবং শাখা ফুলগুলিও খাঁটি সোনার হওয়া চাই| এবং পুরোটাই একছাঁচে অর্থাৎ‌ অখণ্ড হতে হবে| 37 এরপর সাতটি প্রদীপ বানাবে দীপদানে রাখার জন্য| এই প্রদীপগুলিই দীপদানের সামনে আলোকিত করে রাখবে| 38 প্রদীপের চিমটাটিও সোনার হওয়া চাই| যে থালাটিতে দীপদানটি রাখা হবে সেটিকেও সোনার হতে হবে| 39 ঐ দীপদান ও দীপদানের আনুষঙ্গিক অংশ তৈরী করতে অবশ্যই 75 পাউণ্ড সোনা ব্যবহার করতে হবে| 40 পর্বতের ওপর আমি তোমাদের যা যা দেখিয়েছি তা তৈরী করার সময় সর্বদা সতর্ক থেকো, যেন কোন ভুল না হয়|”