বংশাবলির প্রথম খণ্ড
আদম থেকে নোহ পর্যন্ত পরিবারবর্গের ইতিহাস
1
1-3 আদম, শেখ, ইনোশ, কৈনন, মহললেল, যেরদ, হনোক, মথূশেলহ, লেমক, নোহ|
4 নোহর তিন পুত্র| তাদের নাম ছিল শেম, হাম এবং যেফৎ|
যেফতের উত্তরপুরুষ
5 যেফতের সাত পুত্রের নাম হল: গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তুবল, মেশক আর তীরস|
6 গোমরের পুত্রদের নাম: অস্কিনস, দীফৎ আর তোগর্ম|
7 যবনের পুত্ররা হল: ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম ও রোদানীম|
হামের উত্তরপুরুষ
8 হামের পুত্রদের নাম: কূশ, মিশর, পূট ও কনান|
9 কূশের পুত্রদের নাম: সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা|
রয়মার পুত্রদের নাম: শিবা ও দদান|
10 কূশের এক উত্তরপুরুষের নাম ছিল নিম্রোদ| তিনি বড় হয়ে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন|
11 লূদ, অনাম, লহাব, নপ্তুহ,
12 পথ্রোষ, কস্লূহ, কপ্তোর – এদের সকলের পিতা ছিলেন মিশর| কস্লূহ ছিলেন পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ|
13 কনানের প্রথম পুত্র ছিল সীদোন|
14 কনান – যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়,
15 হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়, অর্বদীয়,
16 সমারীয় আর হমাতীয়দেরও পূর্বপুরুষ|
শেমের উত্তরপুরুষ
17 শেমের পুত্রদের নাম: এলম, অশূর, অর্ফক্ষদ, লূদ এবং অরাম| অরামের পুত্ররা হল: ঊষ, হূল, গেথর ও মেশেক|
18 অর্ফক্ষদ ছিলেন শেলহর পিতা এবং এবরের পিতামহ|
19 এবরের দুই পুত্রের একজনের নাম ছিল পেলগ, কারণ তাঁর জন্মের পর থেকেই পৃথিবীর লোকরা বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়| পেলগের ভাইয়ের নাম ছিল যক্তন| (
20 যক্তন পুত্রদের নাম: অল্মোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ,
21 হদোরাম, ঊসল, দিক্ল,
22 এবল, অবীমায়েল, শিবা,
23 ওফীর, হবীলা ও যোববের পিতা ছিল| ইহারা সকলে যক্তনের পুত্র|)
24 শেমের উত্তরপুরুষ হল অর্ফক্ষদ, শেলহ,
25 এবর, পেলগ, রিয়ূ,
26 সরূগ, নাহোর, তেরহ আর
27 অব্রাম (অব্রাম যাকে অব্রাহামও বলা হয়|)
অব্রাহামের পরিবার
28 অব্রাহামের দুই পুত্রের নাম ইসহাক ও ইশ্মায়েল|
29 এদের উত্তরপুরুষ নিম্নরূপ:
ইশ্মায়েলের প্রথম ও বড় ছেলের নাম নবায়োত্| তাঁর অন্যান্য পুত্রদের নাম হল: কেদর, অদ্বেল, মিব্সম,
30 মিশ্ম, দূমা, মসা, হদদ, তেমা,
31 যিটূর, নাফীশ ও কেদমা|
32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরা- সিম্রণ, যক্ষণ, মদান, মিদিয়ন, যিশ্বক ও শূহ প্রমুখ পুত্রদের জন্ম দিয়েছিলেন|
যক্ষণের পুত্রদের নাম: শিবা ও দদান|
33 মিদিয়নের পুত্রদের নাম: ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ আর ইল্দায়া|
এঁরা সকলেই ছিলেন কটূরার উত্তরপুরুষ|
ইসহাকের বংশধর
34 অব্রাহামের এক পুত্রর নাম ইসহাক| ইসহাকের দুই পুত্র – এষৌ আর ইস্রায়েল|
35 এষৌর পুত্রদের নাম: ইলীফস, রূয়েল, যিয়ূশ, যালম আর কোরহ|
36 ইলীফসের পুত্রদের নাম: তৈমন, ওমার, সফী, গয়িতম আর কনস| ইলীফস আর তিম্নর অমালেক নামেও এক পুত্র ছিল|
37 রূয়েলের পুত্রদের নাম: নহৎ, সেরহ, শম্ম আর মিসা|
সেয়ীর থেকে ইদোমীয়রা
38 সেয়ীরের পুত্রদের নাম: লোটন, শোবল, সিবিয়়োন, অনা, দিশোন, এৎসর আর দীশন|
39 লোটনের পুত্রদের নাম: হোরি আর হোমম| লোটনের তিম্না নামে এক বোনও ছিল|
40 শোবলের পুত্রদের নাম: অলিয়ন, মানহৎ, এবল, শফী আর ওনম|
সিবিয়়োনের পুত্রদের নাম: অয়া আর অনা|
41 অনার পুত্র হল দিশোন|
দিশোনের পুত্রদের নাম: হম্রণ, ইশ্বন, যিত্রণ আর করাণ|
42 এৎসরের পুত্রদের নাম: বিল্হন, সাবন আর যাকন|
দিশনের পুত্রদের নাম: ঊষ আর অরাণ|
ইদোমের রাজা
43 ইস্রায়েলে রাজতন্ত্র চালু হবার বহু আগে থেকেই ইদোমে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল| নীচে ইদোমের রাজাদের পরিচয় দেওয়া হল:
ইদোমের প্রথম রাজা ছিলেন বিয়োরের পুত্র বেলা| বেলার রাজধানীর নাম ছিল দিন্হাবা|
44 বেলার মৃত্যুর পর বস্রার সেরহের পুত্র যোবব নতুন রাজা হলেন|
45 যোববের মৃত্যুর পর রাজা হলেন তৈমন দেশের হূশম|
46 হূশম মারা গেলে তাঁর জায়গায় বদদের পুত্র হদদ নতুন রাজা হলেন| তাঁর রাজধানীর নাম ছিল অবীত্| তিনি মোয়াবীয়দের দেশে মিদিয়নকে যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন|
47 হদদের মৃত্যুর পর মস্রেকার বাসিন্দা সম্ল তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হলেন|
48 সম্ল মারা গেলে ফরাৎ নদীর তীরবর্তী রহোবোতের শৌল নতুন রাজা হলেন|
49 শৌল মারা গেলে রাজা হলেন অক্বোরের পুত্র বাল্-হানন|
50 বাল্-হাননের মৃত্যুর পর রাজা হলেন হদদ| তাঁর রাজধানীর নাম ছিল পায় আর তাঁর স্ত্রীর নাম মহেটবেল| মহেটবেল ছিলেন মট্রেদের কন্যা, মেষাহবের দৌহিত্রী|
51 তারপর হদদের মৃত্যু হল|
তিম্ন অলিয়া, যিথেত্,
52 অহলীবামা, এলা, পীনোন,
53 কনস, তৈমন, মিব্সর,
54 মগ্দীয়েল, ঈরম প্রমুখ ব্যক্তিরা ছিলেন ইদোমের নেতা|